‘টাকা-পে’ নামে ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তথ্য চুরির চেষ্টা চলছে: বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা

জাতীয় কার্ড স্কিম ‘টাকা-পে’ নামে একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনসাধারণের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক দেশীয় কার্ডভিত্তিক লেনদেনের নিয়ন্ত্রণ, ব্যয় সাশ্রয় ও বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার হ্রাসের লক্ষ্যে ‘টাকা-পে’ নামে একটি জাতীয় কার্ড স্কিম চালু করেছে। বর্তমানে ১৫টি তফসিলি ব্যাংক গ্রাহকদের এই সেবার আওতায় টাকা-পে ডেবিট কার্ড প্রদান করছে।

তবে সম্প্রতি www.takapaycard.com নামের একটি ভুয়া ওয়েবসাইট জনসাধারণের সংবেদনশীল তথ্য ও গোপনীয় তথ্য সংগ্রহের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করে জানিয়েছে, টাকা-পে স্কিমের জন্য তাদের কোনো ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ বর্তমানে প্রচলিত নেই।

প্রতারণামূলক ওই সাইটে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনপিএসপির লোগো এবং ট্রেডমার্ক অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে, যা ‘ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯’ এর পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এছাড়াও, ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’ এর বিভিন্ন ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া অর্থ লেনদেন, বিনিয়োগ গ্রহণ কিংবা ঋণ প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জনসাধারণকে অনুরোধ করেছে, ভুয়া ওয়েবসাইটে কোনো তথ্য প্রদান থেকে বিরত থাকতে এবং কোন আর্থিক লেনদেনে জড়িত না হওয়ার জন্য। ওয়েবসাইটে প্রবেশ বা তথ্য দিলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি হয়রানির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।