- ১০ জুলাই, ২০২৫
লেখক: কৃষিবিদ মোঃ আতিকুর রহমান, আহ্বায়ক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল
জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন না, ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এক জীবন্ত প্রতীক। তাকে টার্গেট করা মানে আসলে সেই ধারাকে টার্গেট করা—যে ধারা আত্মমর্যাদা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। আর এই ধারাই পরাজিত শক্তির সবচেয়ে বড় শত্রু।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই ধাপে এই পরাজিত শক্তি তাদের রূপ দেখিয়েছে—
১. ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তি,
২. ২০২৪-এর পরাজিত শক্তি।
১৯৭১-এর পরাজিত শক্তি:
এই গোষ্ঠী কখনোই বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি। তারা চেয়েছিল একটা নব্য-উপনিবেশ গড়ে তুলতে। নিজেরা নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়ে অন্যের ইশারায় বন্দুক ধরেছে, মানুষ মেরেছে, আর শেষে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে গিয়েছে। তাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা শুধু ইতিহাসেই আটকে নেই, এই গ্লানি তারা আজও বইছে।
আজকের তরুণদের একাংশকে তারা সেই ব্যর্থতার বিষে ভরিয়ে তুলছে—সোশ্যাল মিডিয়ায়, ক্যাম্পাসে, কৌশলে। এদের কাছে জিয়াউর রহমান মানে তাদের অক্ষমতার জ্বলন্ত স্মারক। তাই জিয়া, খালেদা, তারেক—যারাই তাদের জাতীয়তাবাদী আদর্শকে ধারণ করে, সবাই তাদের টার্গেট।
২০২৪-এর পরাজিত শক্তি:
এই পরাজয় হলো ভোটহীন রাজনীতির, গণবিচ্ছিন্ন আধিপত্যের, মুখোশধারী মুক্তিযুদ্ধের ঠিকাদারদের। তারা বুঝে গেছে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর মিথ্যার মোহে বন্দি নেই। তারা পরিবর্তন চায়—একটি পরিপক্ব, শক্তিশালী এবং জাতীয়তাবাদী নেতৃত্ব চায়।
আর সেই জায়গাটাই বিএনপি ও এর নেতৃত্ব দখল করছে। এই সত্যটা মেনে নিতে না পেরে এখন তারা বিভ্রান্তি, প্রতিহিংসা আর বিদ্বেষের রাজনীতি করছে।
তাদের ক্ষোভ বিএনপির ওপর নয়—তাদের ক্ষোভ বাস্তবতার ওপর।
বিএনপি আজ রাজনীতি চর্চার কেন্দ্রে—মাঠে, রাজপথে, মগজে।
তাই পরাজিত শক্তি এখন আরও বেশি আতঙ্কিত।
কারণ তারা জানে—যদি সত্যিকার অর্থে মানুষ জেগে উঠে, তবে তাদের আর ঠাঁই থাকবে না।
তারা জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলতে চায়, কারণ তারা ভয় পায়—একবার যদি ইতিহাস আবার জেগে উঠে, তবে এ জাতি তাদের আসল চেহারা চেনার সুযোগ পেয়ে যাবে।
এই ভয়ই তাদের উন্মাদ করে তুলেছে। এই ভয়ই তাদের দিয়ে জিয়া ও তার আদর্শের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দেয়।
কিন্তু ইতিহাস থেমে থাকে না। বিজয় আসে বারবার, আত্মত্যাগে, আদর্শে।
পরাজিত শক্তির পতন অনিবার্য। জিয়াউর রহমানের আদর্শেই বাংলাদেশ ফিরে পাবে আত্মমর্যাদা। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ।
(এই লেখাটি সম্পূর্ণভাবে লেখকের নিজস্ব বিশ্লেষণ ও মতামত।)