- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্ট: PNN
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধভাবে ৬৭৮ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং করেছে বলে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে সিআইডি ঢাকার ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আর্থিক লেনদেন, নথিপত্র ও ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে অনুসন্ধান শুরু করে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় বাজার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে এবং তা থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে। প্রাথমিক তথ্য–প্রমাণের ভিত্তিতে গত ১৭ নভেম্বর দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ১৪ টাকার মানিলন্ডারিং মামলা রুজু করা হয়।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ৫৭ বছর বয়সী দিলীপ দীর্ঘদিন ধরে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী পরিচয়ে দেশে-বিদেশে স্বর্ণ ও হীরার ব্যবসার আড়ালে অর্থ পাচার ও চোরাকারবারি করে আসছিলেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি এলসির মাধ্যমে বৈধভাবে বিদেশ থেকে ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার ১১ টাকা ৫২ পয়সা মূল্যের স্বর্ণবার, অলংকার ও লুজ ডায়মন্ড আমদানি করেছে। একই সময়ে স্থানীয় বাজার থেকে বা বিনিময় পদ্ধতিতে ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ১৪ টাকার স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করা হয়, যার বৈধ উৎস বা নথিপত্র প্রতিষ্ঠানটি সিআইডিকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
সিআইডির মুখপাত্র বলেন, চোরাচালানে অর্জিত সম্পদ ও অপরাধলব্ধ অর্থের ব্যবহার সংক্রান্ত নথি পর্যবেক্ষণে মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এটি অতিরিক্ত আইজিপির কাছে দাখিল করে। পরবর্তীতে ১৬ নভেম্বর মামলা দায়েরের অনুমোদন পাওয়া যায়।
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং মামলা সিআইডির তফসিলভুক্ত হওয়ায় তদন্ত সিআইডিই করবে। ব্যাংক লেনদেন, নথিপত্র ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য যাচাই করে আইন অনুযায়ী নিবিড় তদন্ত শুরু হবে।