Tuesday, October 14, 2025

বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার সমুদ্রপথে আম ও কাঁঠাল রপ্তানি, বৈদেশিক বাজারে নতুন দিগন্ত


ফাইল ছবিঃ আম (সংগৃহীত)

স্টাফ রিপোর্টার | PNN: 

বাংলাদেশ থেকে এবার প্রথমবার সমুদ্রপথে আম ও কাঁঠাল রপ্তানি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নতুন ধাপের সূচনা হলো। এতদিন এসব ফল কেবল আকাশপথে পাঠানো হতো।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য বিদায়ী মৌসুমে সমুদ্রপথে ছয়টি দেশে মোট ৩৯,১৪১ কেজি আম রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছে ১৭,৮৭৭ কেজি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৪,৫৮০ কেজি, যুক্তরাষ্ট্রে ৩,৮৩৪ কেজি, ইতালিতে ১,৯৫০ কেজি, বেলজিয়ামে ৫০৪ কেজি এবং কানাডায় ৩৯৬ কেজি।

উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, “দুবাইয়ে পাঠানো ফ্রেশ আমের মান কিছুটা খারাপ হলেও ফ্রোজেন আকারে যেসব দেশে পাঠানো হয়েছে, সেখানে মান ঠিক ছিল।”

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, “আগে রপ্তানিযোগ্য মানের আম কম উৎপাদন হতো। এখন কৃষকদের সহযোগিতায় ভালো মানের আমের উৎপাদন বেড়েছে। এই বছর সমুদ্রপথে কিছু আম পাঠানো সম্ভব হয়েছে।”

শুধু আম নয়, কাঁঠাল রপ্তানিতেও সমুদ্রপথে পরিবর্তন এসেছে। রাজধানীর একটি প্রতিষ্ঠান মে মাসে প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে ৩,৫০০ কেজি কাঁঠাল দুবাই পাঠায়। কনটেইনার পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ২৬ দিন, তবে কাঁঠালের মান প্রায় অক্ষুণ্ণ ছিল।

খরচের দিক থেকে সমুদ্রপথ বেশি লাভজনক। বিমান পরিবহনে প্রতি কেজি ফল রপ্তানিতে খরচ প্রায় ১৬০ টাকা, আর সমুদ্রপথে ৩০–৩২ টনের কনটেইনারে খরচ পড়ে সাড়ে ৩–৪ লাখ টাকা, অর্থাৎ প্রতি কেজি মাত্র ১৩–১৪ টাকা। তবে সময় বেশি লাগার কারণে ফলের মান নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এজন্য আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ সুবিধা জরুরি।

কাঁঠালের ক্ষেত্রে এখনও আকাশপথই প্রধান মাধ্যম। চলতি মৌসুমে রপ্তানিকৃত ১,৫৩১ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র ৩.৫ মেট্রিক টন সমুদ্রপথে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের কাঁঠাল মূলত মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন ও আয়ারল্যান্ডে রপ্তানি হয়। দ্রুত পরিবহনের কারণে এখনো আকাশপথ রপ্তানিকারকদের প্রথম পছন্দ।


Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন