- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক। ঢাকা
ভূমিকম্প আতঙ্কের কারণে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো ভবনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবহার উপযোগী কিনা তার ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে কিনা। যদি কোনো ভবন অনুপযোগী পাওয়া যায়, তবে জরুরি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একটি টিম আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে প্রশাসনের কাছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র বলছে, কিছু ভবনে ইতিমধ্যেই সিলিং খসে পড়া সহ ক্ষতি দেখা দিয়েছে। ফলে ভবন সংস্কারের সময় চলমান ছুটি বৃদ্ধি পেতে পারে এক মাসের বেশি। এই সময়ে অনলাইন ক্লাসের দিকে ঝোঁক বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এদিকে চলমান ছুটির কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের কাজও প্রভাবিত হচ্ছে। নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার গুঞ্জনের মধ্যেই ছাত্রনেতারা দাবি করছেন, ২২ ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
শিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “কোনো প্রকার বিলম্ব ছাড়াই ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। পেছানো হলে তা নির্বাচনের প্রতি শিক্ষার্থীদের বিশ্বাসহীনতা তৈরি করবে।”
ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি প্রার্থী একেএম রাকিব ও জিএস প্রার্থী ফয়সাল মুরাদও নির্বাচনকে ঘোষিত তারিখে আয়োজনের পক্ষপাতী। তারা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশকে অনিশ্চিত করা হচ্ছে।
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী রাকিব জানান, ডোপ টেস্ট এবং অন্যান্য প্রস্তুতি নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন করা সম্ভব। কোনো কারণে নির্বাচন পেছানো হলে তা প্রার্থীদের জন্য অযথা খরচ ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে।
নির্বাচন কমিশন প্রধান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের বাস্তবায়ন বিশ্ববিদ্যালয় খোলা এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। বর্তমানে তারা তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে নির্বাচনী কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হলেও কমিশন জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।