- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার খুচরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। অক্টোবর মাসে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি মাত্র ০.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা ৪ শতাংশের চেয়েও কম।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাদ্যপণ্যের দাম কমে আসা এবং সরকারের করছাড় নীতি এই সাফল্যের প্রধান কারণ। ফলে গাড়ি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও কমেছে। আরবিআই-এর সর্বোচ্চ সহনসীমা ৬ শতাংশের নিচে টানা সাত মাস ধরে মূল্যস্ফীতি থাকা এবং অক্টোবর মাসে ০.৪৮ শতাংশ প্রত্যাশার চেয়ে কম হওয়ায় এটি ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন খুচরা মূল্যস্ফীতির রেকর্ড তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনও ৮ শতাংশের ঘরে সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮.১৭ শতাংশ হয়েছে, যদিও সেপ্টেম্বর মাসে তা ৮.৩৬ শতাংশ ছিল। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ১০ শতাংশের নিচে নেমেও ৮ শতাংশের ঘর জনজীবনে প্রভাব কমাতে যথেষ্ট নয়।
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, কেবল নীতি সুদ বাড়ানো যথেষ্ট নয়। সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নীতি সুদ কমানোর পক্ষপাতী। তারা মনে করেন, ঋণের প্রবৃদ্ধি কমায় সুদহার বাড়ানো অর্থনীতিতে গতি আনছে না।
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমাতে মুদ্রানীতির পাশাপাশি রাজস্বনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে, ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, খুচরা মূল্যস্ফীতি কম হওয়ায় গৃহস্থালির ব্যয় সামর্থ্য বৃদ্ধি পাবে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়বে এবং সামগ্রিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।