- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
যারা নিরাপদ বিনিয়োগের পাশাপাশি তিন মাস অন্তর নিয়মিত মুনাফা পাওয়ার সুযোগ চান, তাদের জন্য জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ‘তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র’ হতে পারে নির্ভরযোগ্য বিকল্প। ১৯৯৮ সালে চালু হওয়া এই সঞ্চয়পত্র দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মধ্যবিত্ত ও বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গা ধরে রেখেছে।
এই সঞ্চয়পত্র ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকার মূল্যে কেনা যায়। এটি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে কেনা ও মেয়াদ শেষে ভাঙানো যায়।
সঞ্চয়পত্রটির মেয়াদ ৩ বছর। সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১.৮২ শতাংশ, আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফা ১১.৭৭ শতাংশ। তবে তিন বছরের আগে সঞ্চয়পত্র ভাঙলে মুনাফার হার কমে যায় এবং এক বছরের মধ্যে ভাঙলে কোনো মুনাফা পাওয়া যাবে না। ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ কর, এবং ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে ১০ শতাংশ কর প্রযোজ্য।
সব শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। এছাড়া স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, খামারভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, অটিস্টিকদের সহায়ক সংগঠন, অনাথ আশ্রম ও প্রবীণ নিবাসও বিনিয়োগ করতে পারবে।
বিনিয়োগ সীমা:
একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা
যুগ্ম নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা
ভবিষ্য তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা (স্থিতির ৫০%)
ফার্মের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা
সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা
অন্যান্য সুবিধা:
প্রতি তিন মাস অন্তর মুনাফা গ্রহণের সুযোগ
চাইলে নমিনি নিয়োগ করা যাবে
ক্রেতা মারা গেলে নমিনি চাইলে সঙ্গে সঙ্গে টাকা তুলতে পারবেন বা মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত মুনাফা নিতে পারবেন
এই সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ এবং নিয়মিত মুনাফার একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, বিশেষ করে যারা ব্যাংক বা অন্যান্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে আগ্রহী নন।