- ২১ অক্টোবর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | টাঙ্গাইল:
পৃথক অভিযানে টাঙ্গাইলের সখীপুর ও কালিহাতী থেকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সখীপুর উপজেলার প্রতিমাবংকী গ্রামের ফজলু মিয়া (৪০) এবং কালিহাতী উপজেলার তেজপুর রতনগঞ্জ গ্রামের মেহেদী হাসান মিলন (৩০)।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর, ২০২৫) রাতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র্যাব-১৪ এর ৩নং কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন।
র্যাব জানায়, গত ১৪ অক্টোবর সকালে সখীপুরে এক শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত ফজলু মিয়া (৪০), যিনি শিশুটির কথিত মামা, তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সখীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি ফজলু মিয়াকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সখীপুরের নলুয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসান মিলন (৩০) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে কৌশলে ওই নারীর ২২ সেকেন্ডের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন তিনি। পরে সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে এবং টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মিলন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ও ভুক্তভোগীকে অপহরণের হুমকি দেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করলে, র্যাব-১৪, ফরিদপুর ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে শুক্রবার বিকালে কালিহাতীর তেজপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি মেহেদী হাসান মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন।