- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে (গুরুদয়াল সরকারি কলেজ) স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবিতে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টা থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। রাতভর চলা এ আন্দোলন শেষ হয় রাত ২টার দিকে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় সন্ধ্যায়, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সহকারী প্রক্টর মো. সোহানুল ইসলাম রেজিস্ট্রার নাইলা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ শেয়ার করেন। নোটিশে জানানো হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলমান থাকায় আইন অনুযায়ী পরীক্ষাকালীন সময়ে ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ থাকবে, ক্যাম্পাসে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না এবং সীমিত প্রয়োজনে আংশিক প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।
এই নোটিশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে। তারা মনে করেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের ক্লাস, পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে।
হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইয়াছিন বলেন, “অস্থায়ী ক্যাম্পাস আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরীক্ষার কারণে আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেলে সময়মতো সেমিস্টার শেষ করা সম্ভব হবে না।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম মুত্তাক্বিন পাটোয়ারী বলেন, “আমরা ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। ক্লাসরুম সংকট, ল্যাবের অভাব, খেলার মাঠ নেই, মেডিকেল সুবিধা সীমিত—এসব সমস্যা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চালানো সম্ভব নয়। স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া এই সমস্যার সমাধান নেই।”
সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী শাফীউল মুজনীবিন প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, “এক বছরেও প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেনি। তাদের উদাসীনতায় আমরা ক্লাস, ল্যাব ও পরীক্ষা বর্জনে বাধ্য হচ্ছি। আজকের আন্দোলন সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ।”
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তারা জানায়, আগামী রবিবার থেকে নতুন কর্মসূচি শুরু হবে এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।