Tuesday, October 14, 2025

সমালোচনার মুখে পোশাক পরিধানের নির্দেশনা প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ ব্যাংক


ফাইল ছবি: বাংলাদেশ ব্যাংক (সংগৃহীত)

ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জারি করা পোশাক পরিধানের নির্দেশনা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অফিস সময়ে পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরিধানের পরামর্শ প্রদানের বিষয়ে স্ব-স্ব বিভাগীয় সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, এ বিষয়ে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি এবং এ-সংক্রান্ত কোনো সার্কুলারও জারি করা হয়নি।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, "মিডিয়ার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ এ বিষয়টি বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের গোচরীভূত হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাঁর নির্দেশনা মোতাবেক বিষয়টি এ মুহূর্তে প্রত্যাহার করা হলো।"

এর আগে, গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক পরিধানের নির্দেশনা জারি করে। গতকাল বুধবার রাতে গণমাধ্যমে এটি প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

পূর্ববর্তী নির্দেশনায় নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না এবং অন্যান্য পেশাদার শালীন পোশাক পরার কথা বলা হয়েছিল। এতে ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক (শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস) এবং লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়। এছাড়াও, ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা এবং সাদামাটা হেড স্কার্ফ বা হিজাব পরার নির্দেশনা ছিল। পুরুষদের জন্য লম্বা বা হাফ হাতার ফরমাল শার্ট ও ফরমাল প্যান্ট পরার কথা বলা হয়েছিল এবং জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরিহার করতে বলা হয়েছিল। নির্দেশনা না মানলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনার কথাও জানানো হয়েছিল।

এই নির্দেশনার বিষয়ে গতকাল প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেছিলেন, একটি প্রতিষ্ঠানে সবাই এক ধরনের পোশাক পরবে, সেই লক্ষ্য থেকেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পোশাক নিয়ে যেন সাম্য ও ঐক্য থাকে, কোনো ধরনের মানসিক বৈষম্য না থাকে। আর শালীন পোশাক যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নারী-পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক। নারীদের ক্ষেত্রে শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস ও লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে। কাউকে হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়নি, তবে যাঁরা পরবেন, তাঁদের সাদামাটা রঙের হিজাব পরতে হবে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন