- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
লন্ডনভিত্তিক দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি) সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে, যেখানে বাংলাদেশের দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং তা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা নিয়ে বিশদ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তথ্যচিত্রটির শিরোনাম ‘Bangladesh’s Missing Billions, Stolen in Plain Sight’।
তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকালে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার লুট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা কীভাবে দেশ থেকে বের হয়েছে, বিদেশে পাঠানো হয়েছে এবং তা ফেরত আনা সম্ভব কি না—এ বিষয়ে বিক্ষোভকারী, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
তথ্যচিত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে দখল করার মাধ্যমে লুটপাট চালানো হয়েছে। ব্যাংক পরিচালক ও কর্মকর্তাদের অস্ত্রের মুখে শেয়ার হস্তান্তরে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া খেলাপি ঋণের হার বৃদ্ধির পেছনে দখলের প্রভাবও আলোচনায় এসেছে।
এছাড়া তথ্যচিত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, টাকা বিদেশে পাঠানোর প্রধান দুটি পদ্ধতি হচ্ছে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিং। এছাড়া অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল যেমন হুন্ডি বা হাওলা ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ পাচার করা হয়।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমকে ধনকুবের হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমান অনুযায়ী, এস আলম ও তার গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাঠিয়েছে। যদিও গ্রুপ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তথ্যচিত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসও মন্তব্য করেছেন, ব্যাংকিং ও ব্যবসায়িক খাত মিলিয়ে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার লুটপাট হয়েছে—সম্ভবত এটি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থ লুণ্ঠন।
তথ্যচিত্রটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দুর্নীতির বিস্তৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি, কীভাবে এসব অর্থ ফেরত আনা সম্ভব, সে বিষয়ে নানা বিশেষজ্ঞের মতামতও উপস্থাপন করেছে।