- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | ঢাকা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নবনির্বাচিত নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণের পরও ফান্ডের পূর্ণাঙ্গ হিসাব না পাওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের কাছে ২০১৩ সালের আগের ২২ বছরের তহবিলের কোনো তথ্য নেই, যা নিয়ে রাকসুর নতুন নেতৃত্ব কঠোর প্রশ্ন তুলেছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জানান, শপথ গ্রহণের পর গতকাল রাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল রাকসুর তহবিলকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালমান সাব্বির। তিনি বলেন, “আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরই তড়িৎগতিতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, কিন্তু কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের হিসাব এখনো পরিষ্কার নয়। প্রশাসন এই বিষয়ে তথ্য দিতে পারছে না।”
রাকসুর অভিযোগ, বিগত বছরগুলোতে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষরা ইচ্ছেমতো তহবিলের অর্থ বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করেছেন। তাই প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় ‘কে কোথায় কত খরচ করেছেন এবং কীভাবে ফেরত আনা যায়’ এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কাজ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
জিএস সালাহউদ্দিন আম্মা জানান, ২০১৩ সালের পর থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ২০২১ সাল থেকে অনলাইন হিসাব বিদ্যমান। তবে ১৯৯০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত প্রায় ২২ বছরের হিসাব নেই। মুজিব শতবর্ষ পালন ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য প্রশাসন তহবিল থেকে অর্থ ব্যবহার করেছে, কিন্তু এর কোনো বিস্তারিত হদিস নেই।
ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “নির্বাচন হওয়ার আগেই তহবিলের হিসাব পরিষ্কার থাকলে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা সঙ্গে সঙ্গে কার্যক্রম শুরু করতে পারতেন। কিন্তু হিসাব জানা না থাকায় এখন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।”
উল্লেখ্য, রাকসুর ১৪তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৮-৮৯ সেশনে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ১৬ অক্টোবর ১৫তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নতুন নেতৃত্ব দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।