- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয়ের বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ সহায়তার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৭ আগস্ট) দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.৩৩ বিলিয়ন ডলারে। একই সময়ে আইএমএফের বিপিএম–৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ হয়েছে ২৬.৩১ বিলিয়ন ডলার।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করলে গ্রস রিজার্ভ সাময়িকভাবে কমে ২৯.৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। বিপিএম–৬ অনুযায়ী তখন রিজার্ভ ছিল ২৪.৫৬ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে, ২৪ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০.৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম–৬ অনুযায়ী ২৫.৮৭ বিলিয়ন ডলার।
রিজার্ভের মোট পরিমাণ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ হিসাবেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি হিসাব রয়েছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় না। এতে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাব এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ হিসাব করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, এই হিসাব অনুযায়ী দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের হার দিয়ে সাড়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম।
প্রসঙ্গত, একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই রিজার্ভ নিশ্চিত করছে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৈদেশিক লেনদেনে যথাযথ নিরাপত্তা।