Tuesday, October 14, 2025

নগদ বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হবে, নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজবে বাংলাদেশ ব্যাংক


ছবিঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর (সংগৃহীত)

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদকে বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, নগদে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে সপ্তাহখানেকের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও সক্ষম ও স্থিতিশীল করে তোলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য।

গতকাল বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ সামিট ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনটি মাস্টারকার্ড ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইসিএমএবি) যৌথভাবে আয়োজন করে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশে একটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানই বড় হয়ে গেছে। প্রতিযোগিতা বাড়াতে হলে আরও সক্ষম প্রতিষ্ঠান দরকার। এজন্য নগদকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এখানে একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে প্রধান শেয়ারহোল্ডার হিসেবে যুক্ত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, নগদে ইতোমধ্যে বড় ধরনের সংশোধন আনা হয়েছে। আগের মালিকদের কারণে ই-কেওয়াইসি সংক্রান্ত যেসব অনিয়ম ছিল, তা সমাধান করা হয়েছে। প্রায় দেড় কোটি ভুয়া বা অকার্যকর হিসাব বাদ দেওয়া হয়েছে। নগদকে স্থিতিশীল ও পুনর্গঠনের পথে নেওয়ার জন্য প্রযুক্তি খাতের কৌশলগত বিনিয়োগকারী আবশ্যক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, নগদ লেনদেন কমাতে আন্তঃলেনদেন ব্যবস্থা থাকা জরুরি। এর জন্য মোজোলুপ নামের একটি সিস্টেমে নতুনভাবে কাজ চলছে, যা সেপ্টেম্বর মাসে চালু হবে। এছাড়া ডিজিটাল ব্যাংক ও এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পূর্ণ ডিজিটালি পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বেসরকারি খাতের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেডিট ব্যুরো অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে টেলকো, এমএফএস, ব্যাংক—সব জায়গার ঋণের তথ্য একত্রিত থাকবে এবং প্রতিটি পরিবারের ঋণের ইতিহাস সংরক্ষিত হবে।

সম্মেলনে দুটি সেশনে আলোচনার আয়োজন করা হয়। প্রথম সেশনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামালসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।

দ্বিতীয় সেশনে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়ার ক্ষেত্রে ইনকামলেস হওয়া এড়াতে এবং ব্যক্তি খাতে আলাদা কাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজন। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে ক্যাশলেস বাংলাদেশ বাস্তবায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী সেশনে “ক্যাশলেস অর্থনীতি গঠনে ফিনটেকের ভূমিকা” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. এম মাসরুর রিয়াজ, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান। আলোচনায় অংশ নেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক শারাফাত উল্লাহ খান, বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহমেদ প্রমুখ।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন