- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বিতর্কিত 'পাকিস্তানি স্লোগান' দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি স্বীকার করেন, তার বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ছিল।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ছাত্রশিবিরের ‘৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। টিএসসি চত্বরে আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীতে জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত নেতাদের ছবি প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে বামধারার ও ছাত্রদল ঘরানার ছাত্র সংগঠনগুলোর তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে শিবির। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও পরে বিতর্কিত অংশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়।
এই প্রেক্ষাপটে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েমকে নিয়ে একটি পাকিস্তানপন্থী স্লোগান দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন,
“সাদিক কায়েম পাকিস্তানি স্লোগানটি রাজনৈতিকভাবে ইনকারেক্ট। এই স্লোগান দেওয়া আমার ঠিক হয় নাই। ইট ওয়াজ বিনিথ মি। ভবিষ্যতে এই প্রজন্মের শিবির নেতাদের নিয়ে এহেন স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকব। কমরেডরাও সচেতন থাইকেন। বাকি যা করসি, বেশ করসি, আরও করব।”
তার এই বক্তব্য ঘিরে ছাত্র রাজনীতির অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে ইতিবাচক আত্মসমালোচনা হিসেবে দেখলেও, অনেকেই বলছেন—এ ধরনের বক্তব্যে ‘দায় এড়ানোর প্রবণতা’ রয়েছে এবং রাজনৈতিক শুদ্ধতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি যথেষ্ট নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, শিবিরের কর্মসূচি ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে এখন শুধুই প্রদর্শনীর বিষয় নয়, বরং ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা ও রাজনৈতিক ভাষার শালীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অঙ্গন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।