- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য সংযোগকে আরও গতিশীল করতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি সমুদ্রপথ শিপিং সেবা চালু করেছে। এই নতুন পদক্ষেপে পণ্য পরিবহনের সময় ২৩ দিনের পরিবর্তে মাত্র ১০ দিন লাগবে, খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে এবং বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরও দক্ষ হবে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জাতীয় সংসদে জমা দেওয়া একটি লিখিত প্রতিবেদনে জানান, “বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিপিং সেবা চালু হওয়ার ফলে লজিস্টিক ব্যবস্থার কার্যকারিতা বেড়েছে এবং পরিবহন খরচ কমেছে। এছাড়া, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পাকিস্তানি পণ্যের জন্য বন্দরে ১০০ শতাংশ পরিদর্শন বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে, যা দুই দেশের বাণিজ্যিক আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইসহাক দার আরও জানান, ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও যোগাযোগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তান ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানি করেছে এবং মোট ২ লাখ টন চাল রপ্তানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আগামী মাসগুলোতেও এই কাঠামোর অধীনে চাল রপ্তানি অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও ডেনিম এক্সপোতে পাকিস্তানের দুই শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে, যা বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও উৎপাদন খাতে পাকিস্তানের আগ্রহের পরিচায়ক।
শুধু সমুদ্রপথ নয়, দুই দেশ সরাসরি আকাশপথ চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে। পাকিস্তানের দুটি বেসরকারি বিমানসংস্থা ইতোমধ্যে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। উভয় পক্ষ এখন সময়সূচি ও লজিস্টিক চূড়ান্ত করার কাজ করছে। ইসহাক দারের প্রত্যাশা, এই ফ্লাইট চালু হলে ব্যবসা ও পর্যটন ক্ষেত্রেও দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
এই উদ্যোগ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে ধরা হচ্ছে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সংযোগকে শক্তিশালী করবে।