- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্ট: PNN
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাষ্ট্রায়ত্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে জাতীয় বেতন কমিশন। কমিশন আগামী সোমবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবে। তবে নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নতুন নির্বাচিত সরকারই এটি বাস্তবায়ন করবে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষয়টি মানতে নারাজ। তারা চাইছেন, বর্তমান সরকারই নতুন পে স্কেল কার্যকর করুক। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা। জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৫ সালের পর সরকারি কর্মচারীদের জন্য সর্বশেষ পে কমিশন হয়েছিল। এরপর বছরে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রায় ১০ বছর ধরে একই বেতন স্কেলে কাজ করছেন সরকারি কর্মকর্তারা। তাই নতুন বেতন কাঠামো তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরে অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীরা বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং সরকারি-বেসরকারি খাতের ব্যবধান কমানোর প্রয়োজনীয়তাও দেখছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে গত ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়ের আহমেদ মজুমদার জানিয়েছেন, নতুন পে স্কেলের দাবিতে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারী সংগঠনকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আলোচনা চলমান। ইতিমধ্যে ১২টি সংগঠন এই দাবিতে জোটবদ্ধ হয়েছে।
কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে স্কেলের গেজেট প্রকাশিত হলে তারা আশ্বস্ত হবেন এবং সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হতে পারে। তবে তারা জোর দিয়েছেন, নতুন পে স্কেল অবশ্যই দিতে হবে।