- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে নতুন ডিজিটাল ব্যাংক চালুর জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের সীমা বাড়িয়েছে। আগে যেখানে ১২৫ কোটি টাকা মূলধন শর্ত ছিল, এখন তা বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত নীতিমালায় ডিজিটাল ব্যাংকের মূলধন নির্ধারিত ছিল ১২৫ কোটি টাকা। তবে প্রচলিত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে এখনো ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হবে এবং পেমেন্ট সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনস–২০১৪ এর আওতায়।
নীতিমালা অনুসারে, এসব ব্যাংকের কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম বা সিডিএম থাকবে না। শুধু একটি প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গ্রাহকরা পুরোপুরি অ্যাপনির্ভর সেবা পাবেন এবং ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ কোনো সুবিধা থাকবে না।
লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্যান্য প্রযুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি। তবে প্লাস্টিক কার্ড ইস্যু করবে না ডিজিটাল ব্যাংক। প্রয়োজনে গ্রাহকরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা নিতে পারবেন।
ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে থাকবে সীমাবদ্ধতা। ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবে না, বড় বা মাঝারি শিল্পেও ঋণ দিতে পারবে না। কেবল ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের অনুমতি থাকবে। এছাড়া লাইসেন্স পাওয়ার পর পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি ডিজিটাল ব্যাংককে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবনা (আইপিও) আনতে হবে, যা উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের ন্যূনতম সমান হতে হবে।
বিশ্বব্যাপী দ্রুত বেড়ে উঠছে ডিজিটাল ব্যাংকিং খাত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান ২০২২ সালেই ডিজিটাল ব্যাংক চালু করেছে। এবার বাংলাদেশও একই পথে এগোচ্ছে।