- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন হওয়া বা না হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যের কোনো প্রভাব দেশের অর্থনীতির ওপর পড়ে না। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক বক্তব্য ওরা রাখুক। আমি বামপন্থি রাজনীতি করেছি। তখন কত বক্তব্য দিয়েছি—হল বন্ধ করে দাও, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দাও। বন্ধ হয়েছে কি?”
গতকাল বুধবার সরকারের এক বছর পূর্তিতে অর্থনীতি সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী আমলে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে ঋণের নামে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে এবং অধিকাংশ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। এই টাকা খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে। তিনি জানান, নতুন করে আরও ১০১ অর্থপাচারকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে, যারা প্রত্যেকেই সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা দূর করা এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। তবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরে অর্থনীতি সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক নেগেটিভ ছিল, এখন তা পজিটিভ হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জুনে এটি ৬ শতাংশে নেমে আসার আশা রয়েছে। ব্যাংক একীভূতকরণ প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন জানান, কতগুলো ব্যাংক একীভূত করা হবে তা এখন প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
টাকা ফেরত আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বড় ধরনের ১১টি কেস ফাইল হয়েছে এবং ১২ দেশের সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। ঋণ প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক থাকলেও উল্লেখ করেন, গত এক বছরে চার বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।