- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রি না হওয়ায় এগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (১২ নভেম্বর) এনবিআর এই বিশেষ আদেশ জারি করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, সাবেক এমপিদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না তা জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আগে নির্দেশনা চেয়েছিল। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর জানায়, গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধের পর গাড়ি খালাস করা যাবে।
৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। একক প্রতি প্রদেয় সর্বোচ্চ শুল্ক-কর ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন শুল্ক-কর ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।
কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী নিলামে তোলা হলেও কোনো নিলামকারী ‘যৌক্তিক মূল্য’ বিড না করায় গাড়িগুলো বিক্রি করা যায়নি। এরপর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জনস্বার্থে গাড়িগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করা হোক। এ সিদ্ধান্তের আলোকে এনবিআর গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য বিশেষ আদেশ জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, আমদানিকারকরা চাইলে ভবিষ্যতে প্রযোজ্য শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করে আইন অনুযায়ী খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। এরপর যদি গাড়িগুলো খালাস হয়, তবে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সেগুলো ফেরত পাবে।