- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় শুনানি শেষে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানির সময় শাহ পরান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কুমিল্লার আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদেকুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিদর্শক সাদেকুর রহমান জানান, শাহ পরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমীন আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করা হয় এবং শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শাহ পরানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে আসামিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরবর্তীতে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে হেফাজতে নেবেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলা এলাকা থেকে র্যাবের সদস্যরা শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকায় র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে র্যাব। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে মুরাদনগর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে মুরাদনগর থানায় দায়ের হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়। এই মামলায় পুলিশ নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি গ্রামে সুদের বিনিময়ে দেওয়া টাকার খোঁজ নিতে এসে খালি বাড়ি পেয়ে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি প্রথমে ভুক্তভোগীর বাবার টিনের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওই নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান। বিষয়টি টের পেয়ে ফজর আলীর পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন স্থানীয় কয়েক যুবক। পরবর্তীতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ধর্ষণের অভিযোগে গত ২৭ জুন এবং বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ২৯ জুন থানায় মোট দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় এ পর্যন্ত শাহ পরানসহ পাঁচজন কারাগারে আছেন। ঘটনার সময় স্থানীয়দের মারধরে ফজর আলীর হাত-পা ভেঙে যায় এবং তিনি বর্তমানে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।