- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিসের নেতিবাচক প্রতিবেদনের কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। দেশের সক্ষমতা নিয়ে দাতা সংস্থা এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মুডিসের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুডিস দ্রুত বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেয়। পরবর্তীতে অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন আসলেও সংস্থাটি ঋণমান নতুনভাবে আপডেট করেনি।
গভর্নর বলেন, “ব্যালেন্স অব পেমেন্টে আমরা এখন ভালো অবস্থানে রয়েছি,” তবুও মুডিস ন্যায়সঙ্গত আচরণ করছে না। তিনি সংস্থাটিকে নতুন করে যাচাই-বাছাই করে ঋণমান আপডেট করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। ফলে সংস্থাটি বাংলাদেশের ঋণমান ‘বি-ওয়ান’ থেকে ‘বি-টু’তে নামিয়ে এবং নেতিবাচক পূর্বাভাস দিয়েছে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ গ্রহণের অনুমতি দিতে পারে বলে জানিয়েছে। তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত দেশের অর্থনীতিতে এই সংকট কাটবে না।
অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে চলমান অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিতে চাইবে না। তাই বিনিয়োগ বাড়াতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সক্রিয় করে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর মুডিসের তথ্য হালনাগাদ না করার বিষয়টিকে “খাদ্যে বিষ মেশানোর মতো” বলে মন্তব্য করেছেন।
এবারের পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা অত্যন্ত জরুরি।