- ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক। PNN
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের বিরুদ্ধে সেনা কর্মী এবং তাদের মিশনকে ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পেন্টাগন ওয়াচডগ রিপোর্টে দেখা গেছে, হেগসেথ ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক আক্রমণ সম্পর্কিত সংবেদনশীল তথ্য মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যাল ব্যবহার করে আদান-প্রদানে জড়িত ছিলেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হেগসেথ তার ব্যক্তিগত ফোন ব্যবহার করে সরকারি কাজের জন্য সংবেদনশীল তথ্য আদান-প্রদানে প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পেন্টাগনের সকল কর্মকর্তাকে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যবহার এবং সংবেদনশীল তথ্যের সঠিক সংরক্ষণে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন।
পেন্টাগনের নিয়ম অনুযায়ী, সিগন্যাল ব্যবহার করে শ্রেণীবদ্ধ তথ্য আদান-প্রদান করা অনুমোদিত নয়। যদিও হেগসেথের অধিকার রয়েছে তথ্য ডিক্লাসিফাই করার, তবুও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে তার ব্যবহারের পরিণতি অস্পষ্ট।
হেগসেথের মাধ্যমে সিগন্যাল চ্যাটে ইয়েমেন অভিযানের বিস্তারিত তথ্য ভাগ করা হয়েছিল। এতে অংশ নিয়েছিলেন হেগসেথ, ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স, স্টেট সেক্রেটারি মার্কো রুবিও এবং ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর তুলসি গাবার্ড। এছাড়াও হেগসেথ তার স্ত্রী, ভাই ও ব্যক্তিগত আইনজীবীর সঙ্গে আলাদা চ্যাটে তথ্য ভাগ করেছিলেন, যারা অনুমোদিত ছিলেন না।
হেগসেথ তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, কোনো শ্রেণীবদ্ধ তথ্য ভাগ করা হয়নি এবং এটি তাকে “পুরোপুরি নির্দোষ” প্রমাণ করে। তবে অনেক আইনপ্রণেতা বলেছেন, এই ধরনের আচরণ অন্য যেকোনো কর্মকর্তার জন্য চাকরি হারানোর কারণ হতে পারত।
এদিকে হেগসেথের বিরুদ্ধে কারিবিয়ান অঞ্চলে একটি ড্রাগ-চালিত নৌকায় আক্রমণের সময় দ্বিতীয় হামলার মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগেও আলাদা তদন্ত চলছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেগসেথের নির্দেশে দ্বিতীয় আক্রমণে আগের হামলার বেঁচে থাকা দুজন নিহত হয়েছেন।
গত কয়েক বছরে হেগসেথের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং আর্থিক অপব্যবহার সংক্রান্ত অভিযোগও উঠেছিল। এসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনা মার্কিন সেনা কর্মীদের নিরাপত্তা এবং সংবেদনশীল সামরিক তথ্যের সুরক্ষার গুরুত্ব পুনরায়浮 করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপদ ও অনুমোদিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যবহার অপরিহার্য।