- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বজনরা মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পালন করেন। “ফুল গুলো সব পুড়লো কেন, বিচার চাই”, “বাচ্চাগুলো পুড়লো কেন, জবাব চাই” প্রভৃতি স্লোগানে তারা সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবি করেন।
স্বজনরা ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে রয়েছে:
সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
সারাদেশে মাইলস্টোন স্কুলসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।
নিহত প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা প্রদান করতে হবে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিহতদের জন্য ২ কোটি টাকা এবং আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা জরিমানা প্রদান করা হোক।
স্কুলের স্থান দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে, অথবা রানওয়ে স্থান পরিবর্তন করতে হবে।
কোচিং ব্যবসার মূল হোতা ও স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষিকা মিস খাদিজাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও বিচার করা হোক।
বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ জনবিরল স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে।
দুর্ঘটনার দিন স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ দ্রুত প্রকাশ করা হোক।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সায়মা আক্তারের মা রীনা আক্তার বলেন, “মেয়ে বলতো, কোচিং না করলে মিস আদর করে না। আমি মেয়ে কে কোচিংয়ে দিয়েছি, সেই কোচিংয়ের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।”
নিহত উম্মে আফিয়ার মামা সাব্বির বলেন, “ঘটনার বহুদিন পেরিয়েছে, কিন্তু এখনও তদন্তের অগ্রগতি বা বিচার সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।”
এর আগে, ২১ জুলাই বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক নিহত হন এবং শতাধিক আহত হন। দীর্ঘ ১২ দিন বন্ধ থাকার পর ৩ আগস্ট স্কুল পুনরায় খুললেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসেনি। শিক্ষার্থীদের মাঝে গভীর শোক ও নীরবতা বিরাজ করছে।
স্বজনরা আশাপ্রকাশ করেছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ন্যায়বিচারের জন্য সোচ্চার থাকবেন।