- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া এখনও জীবনসংগ্রামে লড়ছেন। মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ লাগার পর তাঁর খুলির একটি অংশ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি।
মামুনের মাথায় মোড়ানো সাদা ব্যান্ডেজে কালো কালিতে স্পষ্ট করে লেখা হয়েছে— ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, যাতে কেউ অসাবধানতাবশত তাঁর মাথায় হাত না রাখে, সেজন্যই এ সতর্কবার্তা লেখা হয়েছে।
পার্কভিউ হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, মামুনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন খাবার খেতে পারছেন, তবে মাথার খুলি পুরোপুরি জোড়া লাগেনি।
সংঘর্ষে আরও দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ টানা পাঁচ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর কনশাস লেভেল এখনো ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে; তাঁর শরীরে ভাসকুলার ইনজুরি ধরা পড়েছে।
গত শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় কয়েক দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় জড়ায়। সংঘর্ষে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী, সহ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারাও আহত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মামুনের অবস্থার উন্নতি হলেও তাঁর মাথার হাড় পুনঃস্থাপনের আগে পূর্ণ সুস্থ বলা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।