- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে সাগরে তলিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি। গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এই ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পরিবার তার সন্ধান পায়নি। ট্যুরিস্ট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং কোস্টগার্ডের যৌথ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকলেও, অরিত্রকে ফিরে পাওয়ার আশায় তার পরিবার, বন্ধু ও সহপাঠীরা চোখে পানি নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
ঘটনার দিন, গত মঙ্গলবার সকালে হিমছড়ি জাদুঘরের কাছে সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে নেমেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন কে এম সাদমান রহমান সাবাব, আসিফ আহমেদ এবং অরিত্র হাসান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের এই তিন শিক্ষার্থী উচ্ছ্বসিত ঢেউয়ের টানে সাগরে তলিয়ে যান।
এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার দিনই ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরের দিন, বুধবার সকালে কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া উপকূলে ভেসে আসে বগুড়ার সন্তান আসিফ আহমেদের নিথর দেহ। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বগুড়ারই আরেক শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান।
উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুল মুকিত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দুজনের মরদেহ ভেসে এলেও দুঃখজনকভাবে এখন পর্যন্ত অরিত্র হাসানের সন্ধান মিলেনি। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলমান আছে এবং প্রতিনিয়ত এলাকাটি মনিটর করা হচ্ছে।"
আসিফ আহমেদের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি গতকাল ৯ জুলাই কক্সবাজার সমিতিপাড়ার সমুদ্র সৈকতে নিশ্চিত করা হয়েছিল।