- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সীমানার মধ্যে অবস্থিত ‘খুলনা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার’ দখল করে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিনের আবাসিক হলের সংকট ও গবেষণার জন্য জমি দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে খামার ভবনের সামনে নতুন ব্যানার টাঙিয়ে তারা এই কর্মসূচি চালায়।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে খামারের সামনে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরিয়ে যেতে বলেন। পরে তারা মূল ভবনের সামনে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ হল’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা বেলা ২টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যে ১০ দশমিক ৩৫ একর জমি নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর পরিচালিত খামারটি আবাসিক সুবিধা ও গবেষণার জন্য বরাবরই বাধা হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে সাত হাজারের বেশি শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র পাঁচটি হল রয়েছে, যা ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন দিতে সক্ষম। বিশেষ করে জীববিজ্ঞানভিত্তিক বিভাগের মাঠ গবেষণার জন্য জমির প্রয়োজনীয়তা বেশি থাকলেও এ সমস্যা প্রকট।
এর আগে শিক্ষার্থীরা গত ফেব্রুয়ারি ও নভেম্বরেও একই দাবিতে জমি হস্তান্তরের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি ও বিক্ষোভ করেছে। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার খুলনায় এসে জমি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেও এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সম্প্রসারণের জন্য ২০৩ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে মৎস্য খামারের কার্যালয়ও রয়েছে। তবে আজকের এই দখল কর্মসূচি কোনো সরকারি প্রক্রিয়ার অংশ নয় এবং দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এমন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।