- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | ঢাকা:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত ২৭ নভেম্বরের তারিখ নিয়ে নতুন সংশয় দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন রবিবার ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন দাবি, বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোলের কারণে সম্ভাব্যভাবে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ২০ ডিসেম্বরের পর হতে পারে।
সভায় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফীন নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব দেন। মেহেদী হিমেল দাবি করেন, নির্বাচনের আচরণবিধিতে বিশেষভাবে কিছু গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তার বক্তব্য, এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের বাইরে রাখা এবং অছাত্রদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়া পরিকল্পিত “মাস্টারপ্ল্যানের অংশ”। এছাড়া, তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের দলকে যথাযথ সুযোগ দেওয়া উচিত।
শামসুল আরেফীন সাংবাদিকদের প্রবেশ ও নিরীক্ষা সংক্রান্ত বিশেষ নিয়মের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, কোনো সাংবাদিক আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাকে কেন্দ্র থেকে সরানো হবে এবং পাস কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়ায় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে। এছাড়া, অন্যান্য ক্যাম্পাসের নির্বাচন থেকে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, অমোচনীয় কালি ব্যবস্থার অভাব নির্বাচন স্থগিতের কারণ হতে পারে।
অন্যদিকে, জবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আনা উচিত। তিনি মন্তব্য করেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত সময়ের রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত্ব নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা।
সভায় আচরণবিধি নিয়ে তর্কের সময় ছাত্রদলের নেতারা উত্তেজিত হয়ে টেবিল থাপড়ে ও উচ্চবাচ্য করেন। এতে কমিশনের সদস্যদেরও আপত্তি দেখা দেয় এবং এমন পরিস্থিতিতে পদত্যাগের কথাও ওঠে। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের সঙ্গে মিটিং করে পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
সূত্র জানায়, কমিশন মঙ্গলবারও নির্বাচনের খসড়া তফসিল ঘোষণা করবে না। ছাত্রদলের দাবির কারণে নির্বাচনের প্রচারণার সময় বৃদ্ধি এবং ২০ ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য বলেন, “আমরা যৌক্তিকভাবে কাজ করব। অযৌক্তিক দাবি মানা হবে না। আমরা কোনো পক্ষের না, নিরপেক্ষভাবে সুন্দর নির্বাচন দিতে চাই।” প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, “গতকালকের আচরণ শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন হবে। সকল পক্ষের প্রোগ্রাম করার সুযোগ থাকবে, কিন্তু সব দাবি মেনে নেওয়া হবে না।”