- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা এই মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত প্রকাশের দাবিও তুলেছে।
শনিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে সাজিদের সহপাঠী সংবর্ত ৩৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের সঙ্গে প্রজ্বলিত ৩৫ ব্যাচ ও ইনকিলাব ৩৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা “কাজ না করে বেতন নে”, “ইবির পুকুরে ভাসছে লাশ”, “জাস্টিস ফর সাজিদ” প্রভৃতি স্লোগান দেন এবং নানা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীদের মূল দাবি হলো:
সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্ত করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সর্বত্র সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।
আবাসিক হলে শতভাগ মনিটরিং ব্যবস্থা ও ডিজিটাল কার্ড বা বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু।
নিরাপত্তাবেষ্টিত বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ।
পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও সক্রিয় রাখা।
ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ।
উপাচার্যসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়মিত ক্যাম্পাসে উপস্থিতি ও জবাবদিহিতা।
মেইন গেটসহ সব প্রবেশ পথেই নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ।
তদন্ত কমিটিতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
এসব দাবি সাত কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ডেডলাইন ঘোষণা ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা ভিসি ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতারও তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনের প্রতি শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিরাপদ করার প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন।