Wednesday, October 22, 2025

গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার শুরু করতে হবে: জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন


ছবিঃ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক (সংগৃহীত)

স্টাফ রিপোর্টার | PNN: 

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বাংলাদেশে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার প্রক্রিয়াকে জবাবদিহি নিশ্চিতের পথ হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, নির্বিচারে আটক ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তি দেয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।

বুধবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফলকার টুর্ক এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গুমের ঘটনায় প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত। গত সপ্তাহে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুম এবং নির্যাতন সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলাগুলোতে অভিযুক্তরা মূলত সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ডিজিএফআই ও র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগে হেফাজতে নিয়েছে এবং এই কর্মকর্তাদের উপযুক্ত বেসামরিক আদালতে দ্রুত হাজির করানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

ফলকার টুর্ক বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি বিচার প্রক্রিয়া নয়, বরং একটি সামগ্রিক পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।” তিনি আরও যোগ করেন, গুমের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়া নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন।

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, একদিকে যেমন এই মামলা সম্পর্কিত সুষ্ঠু বিচার ও ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে, তেমনি অপরদিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অতীতের অন্যান্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।”

ফলকার টুর্কের মতে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সত্য উন্মোচন করা, ক্ষতিপূরণ প্রদান করা এবং ভবিষ্যতে কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন এড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি আরও বলেছিলেন যে, কোনো মামলার ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ডের আবেদন না করা উচিত, কারণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এর বিপরীতে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন