- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল বিকেল থেকে আজ সকালের মধ্যে নতুন করে আরও ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে ফেনী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর এবং দাগনভূঞা উপজেলার মোট আক্রান্ত গ্রামের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১০৯টি।
নতুন করে প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে চারটি ফেনী সদর উপজেলায়, পাঁচটি ছাগলনাইয়া উপজেলায় এবং একটি দাগনভূঞা উপজেলায় অবস্থিত। সীমান্তবর্তী পরশুরাম উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক।
বন্যায় পাঁচটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও ব্যাহত রয়েছে। ফেনী-ফুলগাজী এবং ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক সড়কগুলোর ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ছোট যানবাহনের চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ সকাল পর্যন্ত জেলার ৮২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯,২০০ বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল রাতে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরা পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং অসুস্থ ব্যক্তিসহ ১৮ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করেছেন।
স্থানীয় প্রশাসন কর্মকর্তা ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেল থেকে ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করে এবং সন্ধ্যায় দাগনভূঞা উপজেলার কিছু অংশেও পানি বেড়ে যায়। এতে নতুন করে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেনী সদরের ফাজিলপুর ইউনিয়নের দুটি ও মোটবি ইউনিয়নের দুটি গ্রাম; ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম এবং দাগনভূঞা উপজেলার একটি গ্রাম।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন বন্যাদুর্গতদের প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত খাদ্য ও অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী মজুত রয়েছে। তিনি দেরিতে বা অনুপস্থিত সহায়তার ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছেন এবং দ্রুত সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।