- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি অর্থবছরের শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ হবে এবং আগামী ২০২৬ অর্থবছরে তা ৫ শতাংশে উন্নীত হবে। তবে এই প্রবৃদ্ধির পথে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি রয়ে গেছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এডিবির ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও)’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের পোশাক রপ্তানি খাত স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা, দেশীয় চাহিদা হ্রাস, বারবার বন্যা, শিল্প শ্রমিক বিরোধ এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ধীরগতির প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে ভোগব্যয় বাড়বে, যা রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও আসন্ন নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয়ের কারণে হতে পারে। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়ন, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর।” তিনি আরও বলেন, মার্কিন শুল্ক ও ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এখনও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঝুঁকি হিসেবে আছে।
২০২৬ অর্থবছরের জন্য এডিবি কিছু ঝুঁকির কথা জানিয়েছে, যেমন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের ধীরগতি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৯.৭ শতাংশ এবং গত অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশ।
এডিবি আশা প্রকাশ করেছে, ভোগব্যয় প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হবে, তবে বিনিয়োগ মন্থর এবং রপ্তানির ওপর চাপও প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে কাজ করছে। সংস্থাটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৬৯টি দেশ।