Friday, December 5, 2025

ডাকসুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার পথে কেন্দ্রীয় নেতারা


ফাইল ছবিঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (সংগৃহীত)

PNN নিউজ ডেস্ক | ঢাকা:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) আগামী দ্বিতীয় সাধারণ সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে। ডাকসুর নির্বাচিত নেতারা নীতিগতভাবে ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খান জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ডাকসুতে সদস্যপদ প্রদানের মতো এবারও এটি কেবল আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে।

মহিউদ্দিন খান বলেন, “২০১৯ সালের মতো দ্বিতীয় সাধারণ সভায় তাকে সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল, ঠিক তেমনিভাবে ২০২৫ সালের সভায় সদস্যপদ বাতিল করা হবে। সব নির্বাচিত প্রতিনিধি নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন। এটি শুধু আনুষ্ঠানিকতা।”

ডাকসুর কার্যক্রম পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচনের আগে অঙ্গীকার করেছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব। এখনো সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিশ্রুত কাজগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করেছি অস্থায়ী বা তাৎক্ষণিক সেবা এবং দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত পরিবর্তন।”

মহিউদ্দিন খান আরও জানান, “সেবা সম্পর্কিত কিছু কাজ ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান হয়েছে, আর কিছু শিগগিরই সম্পন্ন হবে। নীতিগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যদিও সব কাজ একসাথে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তবে আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাব।”

ডাকসুর কার্যক্রমে কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক বাধার বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দল সরাসরি বাধা দিচ্ছে না। কিছু প্রশাসনিক জটিলতা আছে, তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করছি। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু ধীরগতি রয়েছে, তাই সব কাজ সময়মতো হচ্ছে না।”

জুলাইয়ে ক্যাম্পাসে সংঘটিত সহিংসতা এবং ৪০৩ জন অপরাধী ও সহিংসতায় জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, “সর্বমিত্র ও অন্যান্য শিক্ষার্থীসহ সব অপরাধীর বিচারের দাবি জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়নি। ৪০০-র বেশি ব্যক্তির বিষয়ে তদন্ত হয়েছে।”

সাম্প্রতিক সময়ে ডাকসুর সদস্য সর্বমিত্রকে ঘিরে ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে মহিউদ্দিন খান মন্তব্য করেন, “সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণ বা সমালোচনা গঠনমূলক নয়। ভুল হতে পারে, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”

তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়, আমরা তাদের পাশে থাকব। না হলে প্রশাসনকে বাধ্য করব। ক্যাম্পাসে মাদক ব্যবসায়ী বা অপরাধীর কোনো জায়গা নেই। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং ন্যায়ের পক্ষে কাজ চালিয়ে যাব।”

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন