Friday, December 5, 2025

চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড থেকে ইউএইতে রপ্তানি হচ্ছে তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট


ছবিঃ চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড থেকে তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট (সংগৃহীত)

PNN নিউজ ডেস্ক। চট্টগ্রাম

দেশের জাহাজ নির্মাতা ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে তৈরি তিনটি নতুন ল্যান্ডিং ক্রাফট মায়া, এসএমএস এমি ও মুনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মারওয়ান অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি এলএলসি-এর কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামের পটিয়ায় ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের সামনে নোঙ্গরকৃত জাহাজে আয়োজিত জাহাজ ডেলিভারি অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খান, মারওয়ান শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি এলএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ মোহাম্মদ হুসাইন আল মারজুকি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশ ডিআইজি আহসান হাবিব, কোস্ট গার্ড ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি বলেন, “বাংলাদেশের সক্ষম জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে তিনটি নতুন ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউএই-তে রপ্তানি হওয়া দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক খাতের ব্যবসায়িক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ওয়েস্টার্ন মেরিন এবং মারওয়ানের দীর্ঘদিনের সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে।”

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খান বলেন, “সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণে জাহাজ নির্মাণে রপ্তানি আরও গতিশীল হচ্ছে। এটি আমাদের সামুদ্রিক শিল্পের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে।”

তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট সম্পূর্ণভাবে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী নির্মিত। জাহাজগুলো অফশোর সাপ্লাই, মালবাহী পরিবহন এবং সমুদ্র বাণিজ্যের বিভিন্ন কাজে ব্যবহারযোগ্য। দৈর্ঘ্য ৬৯ মিটার, প্রস্থ ১৬ মিটার, ড্রাফট ৩ মিটার এবং ১০ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলার সক্ষমতা রয়েছে। ৭০০ বর্গমিটার ক্লিয়ার ডেক স্পেসে ভারী যন্ত্রপাতি ও বাল্ক কার্গো পরিবহন সম্ভব।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান জানান, গত বছর মারওয়ানের কাছ থেকে আটটি জাহাজ নির্মাণের বড় ক্রয়াদেশ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে ‘রায়ান’ ল্যান্ডিং ক্রাফট এবং ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’ টাগবোট ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) শহিদুল বাশার বলেন, “একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট নির্মাণে বাজার দরে খরচ প্রায় ৭-৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এই তিনটির ক্ষেত্রে ক্রেতা শুধুমাত্র মজুরি বাবদ ২.২ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে জাহাজগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।”

ওয়েস্টার্ন মেরিনের সূত্রে জানা গেছে, চুক্তিতে মোট আটটি জাহাজ রয়েছে—দুটি টাগবোট, চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট এবং দুটি অয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে চলতি বছরে চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ও দুটি টাগবোট রপ্তানি করা হচ্ছে। বাকি দুটি অয়েল ট্যাংকার ২০২৬ সালের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন