- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরো করে গুমের চেষ্টার অভিযোগে স্বামী মো. সুমনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ঘটনার চার দিন পর গতকাল রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রাম র্যাব-৭ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল হাফিজুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর ভিসা জটিলতায় সুমন দেশে ফিরে চট্টগ্রামে পিকআপ চালাতেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তার স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন র্যাবকে জানায়, ৯ জুলাই রাতে অজ্ঞাত ৬-৭ জন যুবক বাসায় আসাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সুমন দুটি ছুরি দিয়ে স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে তিনি সেটিকে ১১ টুকরো করেন এবং কমোডের ফ্ল্যাশের সঙ্গে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা চালান।
ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে ফ্ল্যাটের সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমানের। তিনি রাতে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পান। দীর্ঘ সময় ধরে পানির ফ্ল্যাশের শব্দ হওয়ায় তার সন্দেহ হয়। তিনি ফ্ল্যাটে গিয়ে নক করলে সুমন এলোমেলো কথা বলেন এবং ভেতরে ঢুকতে দেননি। পরে গার্ড জোর করে ভেতরে ঢুকে রুমের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ ও বাথরুমে মানুষের মাংস দেখতে পান।
গার্ড সঙ্গে সঙ্গে বাইরে থেকে দরজা তালাবদ্ধ করে স্থানীয়দের সহায়তা চাইতে যান। এই সুযোগে সুমন জানালার গ্রিল কেটে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নারীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। নিহত নারীর বড় ভাই মো. আনোয়ার হোসেন রুবেল বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় সুমনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।