- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তিন শিক্ষার্থী মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই এ ঘটনার মূল কারণ বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার পর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় উপাচার্যের সভাকক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১০টি জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঘোষণা দেন।
প্রধান সিদ্ধান্তগুলো হলো:
আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।
শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা মনিটর করার জন্য ৫ শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন।
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মডেল থানা স্থাপনের জন্য সরকারকে অনুরোধ।
রেলক্রসিং এলাকায় একটি পুলিশ বক্স স্থাপন।
সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে রবিবার মধ্যেই মামলা দায়ের।
ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণের জন্য জরুরি সিন্ডিকেট সভা।
২নং গেট সংলগ্ন জোবরা এলাকার বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য কমিটি গঠন।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রত্যাহার না করার অনুরোধ।
শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য হটলাইন সার্ভিস চালু করা।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন জানান, গতকাল বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সম্প্রীতি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দারোয়ান ও শিক্ষার্থী সাফিয়া খাতুনের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পরিণত হয়।