- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে সহপাঠী ও শিক্ষকের ওপর একাধিকবার আক্রমণাত্মক ও বিশৃঙ্খল আচরণের কারণে মেহেদী হাসান অভি নামে এক ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টরের দপ্তর সোমবার (১৮ আগস্ট) এক নোটিশের মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
নোটিশে বলা হয়, ‘EEE309’ কোর্স চলাকালে ওই ছাত্র একাধিকবার শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে বিশৃঙ্খল আচরণ করেছেন। অনুমতি ছাড়া রেকর্ডিং করা, লেকচার পরিবেশ বিঘ্নিত করা এবং সহপাঠীদের ওপর শারীরিক আক্রমণ চালানো তার অভিযোগের মধ্যে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের আচরণ কমিউনিটির নিরাপত্তা ও মর্যাদার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে।
নোটিশে আরও জানানো হয়, অভিযুক্ত ছাত্রকে তাৎক্ষণিকভাবে সব ক্লাস থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সামার ২০২৫ সেমিস্টারের ‘EEE309’ কোর্সটি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. তৌহিদুর রহমান পরিচালনা করেন। বহিষ্কৃত ছাত্র মেহেদী হাসান ক্লাস চলাকালে চিৎকার-চেঁচামেচি, দরজায় লাথি মারা, শিক্ষককে হুমকি দেওয়া, অনুমতি ছাড়া লেকচার রেকর্ড করা এবং সহপাঠীদের ওপর শারীরিকভাবে হামলা করার মতো ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহপাঠী বলেন, “একবার সে ক্লাসে ঢুকে ফোন হাতে ড. রহমানের মুখের কাছে গিয়ে চিৎকার করতে থাকে। তার ভাষা ও আচরণ ছিল ভয়ঙ্কর, যেন রাস্তাঘাটের কোনো মাস্তান।”
ক্লাসে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, ১৭ আগস্ট ‘ডিফিউশন’ বিষয়ক লেকচারে মেহেদী হাসান ড. তৌহিদুর রহমানের ব্যক্তিগত বাঁশি ভাঙার চেষ্টা করেন এবং সহপাঠী ফারদিন রহমান, সানজিদ আহমেদ ও নুসরাত জাহানের ওপর শারীরিক লাঞ্ছন চালান। পুরো ঘটনার দৃশ্য ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছেন, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।