- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশেষ ছাড়ে নবায়ন করা ঋণের বড় অংশ পুনরায় খেলাপি হয়ে ব্যাংক খাতের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত বছর ব্যাংক খাতে ৮৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিশেষ সুবিধায় নবায়ন করা হলেও এর মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনরায় খেলাপি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নবায়ন করা ঋণের মোট স্থিতি বর্তমানে ৩ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩৮.৪২ শতাংশ ঋণ পুনরায় খেলাপি হয়েছে। বাকি ৬১.৫৮ শতাংশ ঋণ নিয়মিত হিসাবেই রয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছরে নবায়ন করা ঋণের খেলাপি হওয়ার হার অর্ধেকের বেশি বেড়েছে।
বিশেষ করে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর ব্যাংক খাতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের ঋণ বিশেষ ছাড়ে নবায়ন করা হয়েছিল। ওই সময়ের কিস্তি পরিশোধ না করলেও ব্যাংক তা খেলাপি হিসেবে গণ্য করেনি। সরকারের পরিবর্তনের পর এসব ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কারণে নবায়ন করা ঋণের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণের বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। মূলধন ঘাটতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসায় ব্যাংকগুলোর দুর্বলতা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। খেলাপি ঋণের অর্ধেকেরও বেশি শীর্ষ ৫টি ব্যাংকের মধ্যে কেন্দ্রীভূত রয়েছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি ছাড়া ভবিষ্যতে ঋণ বাজারে সংকট তৈরি করতে পারে।