- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সদ্য পদবী বাতিল হওয়া প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে করফাঁকি ও কানাডায় এক কোটি টাকার বেশি অর্থপাচারের প্রমাণ মিলেছে।
এনবিআরের সূত্র জানায়, শাহীনুল ইসলাম ইস্টার্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তার মেয়ে নোভা ইসলামের কাছে কানাডায় প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন, তবে তিনি আয়কর রিটার্নে মাত্র ১০ লাখ টাকা ঘোষণা করেছিলেন। অর্থাৎ অবৈধভাবে তিনি ১ কোটি টাকারও বেশি পাচার করেছেন।
উল্লেখ্য, সাবেক বিএফআইইউ প্রধানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ ও রকেট লেনদেনের তথ্য তদন্তে পাওয়া গেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত তার মোট লেনদেনের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এছাড়া তার মালিকানাধীন ফ্ল্যাট এবং অন্যান্য সম্পত্তির তথ্যও করফাইল থেকে গোপন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এনবিআরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, স্ত্রী সুমা ইসলামের নামে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী রমনায় ১ হাজার ১০৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয় করা হয়েছে, যার দলিলমূল্য ৩১ লাখ ৩০ হাজার টাকা হলেও প্রকৃত বাজারমূল্য প্রায় ৭১ লাখ টাকা। এছাড়া শাহীনুল ইসলাম যে ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন, তা শ্বশুরের নামে নিবন্ধিত হলেও প্রকৃত মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান, ‘শাহীনুল ইসলামের ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল লেনদেনের সঙ্গে তার আয়কর নথির মধ্যে বিরাট অসংগতি রয়েছে। এতে করফাঁকির পাশাপাশি বিদেশে অবৈধ অর্থপাচারের শক্ত প্রমাণ মিলেছে। ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে হুন্ডির মাধ্যমেও টাকা পাঠানো হতে পারে।’
গত এক ভিডিও কেলেঙ্কারির জেরে বাংলাদেশ ব্যাংক শাহীনুল ইসলামকে ছুটিতে পাঠায়। পরে ৮ সেপ্টেম্বর সরকার তার বিএফআইইউ প্রধান পদে নিয়োগ বাতিল করে।