- ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | ঢাকা:
বাংলাদেশ আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চাপিয়ে দেওয়া শর্তে ঋণ নেবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সরকার শুধুমাত্র বন্ধুপ্রতীম শর্তে আইএমএফের সঙ্গে ঋণচুক্তি করবে এবং যদি আইএমএফ নতুন শর্ত যোগ করে, যা বাংলাদেশের জন্য উপকারী না হয়, তবে সেসব শর্তে ঋণ নেওয়া হবে না।
করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কার কারণে ২০২২ সালে বাংলাদেশ আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে, তবে সেই সময়ে নানা শর্ত ছিল। এরপর ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকার আরো ৮০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে, যার পর শর্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষত প্রবাসী আয় এবং রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার দিক থেকে ইতিবাচক সঙ্কেত দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "যদি আইএমএফ নতুন শর্ত দেয়, যা আমাদের জন্য বন্ধুসুলভ নয়, তাহলে সেসব শর্তে ঋণ গ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই।"
এছাড়া, অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার জানিয়েছেন যে, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) এবং রিজার্ভে চাপ কমাতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা মিগারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রপ্তানিকারকদের সহায়তা দিতে মিগার ৫০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা প্রদান করবে।
এদিকে, সরকারের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সেবার মান উন্নয়নের জন্য, কোন বিশেষ গ্রুপকে সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। সরকারের প্রত্যাশা, যদি রপ্তানি আয় এবং প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাহলে দাতা সংস্থার ঋণের উপর নির্ভরতা অনেক কমে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করা।