- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বৃষ্টির দাপট কমে আসায় বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, ফলে গত কয়েক দিনের চড়া দামের পর কিছুটা স্বস্তিতে ফিরছে রাজধানীর ক্রেতারা। সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, হাতিরপুল ও নয়াবাজার ঘুরে দেখা গেছে, করলা, ঢ্যাঁড়শ, লাউ, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, কচুরলতি, বরবটি ও কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। বেগুনের দাম কমে হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। সবচেয়ে বড় দাম পতন দেখা গেছে পেঁপেতে—কেজি প্রতি এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
তবে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অমৌসুমি সবজি। টমেটো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, শিম ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, আর ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তালিকা অনুসারে, বাজারে এসব পণ্যের দাম ১০-৩০ টাকা বেশি।
আলু বাজারে কিছুটা ব্যতিক্রম। কাঠিলাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৩৫ টাকা এবং ডায়মন্ড আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
মাছ-মুরগির দামে খুব একটা পরিবর্তন না থাকলেও আগের সপ্তাহের তুলনায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
রুই মাছ: ৩৮০-৪৫০ টাকা
তেলাপিয়া: ২৫০-২৮০ টাকা
পাঙাশ: ২০০-২৫০ টাকা
পাবদা ও শিং: ৪০০-৫০০ টাকা
মুরগির বাজারেও স্থিতিশীলতা নেই।
ব্রয়লার: ১৬০-১৭০ টাকা
সোনালি মুরগি: ২৮০-৩০০ টাকা
ডিম (ডজন): ১২০-১৩০ টাকা
গরু ও খাসির মাংসের দাম এখনও আকাশচুম্বী। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকায়।
মূল্যবৃদ্ধি দেখা গেছে পেঁয়াজে—প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন ও আদার দাম স্থিতিশীল থাকলেও যথাক্রমে ১৪০-২০০ ও ১৪০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে কোনো পরিবর্তন নেই।
মিনিকেট: ৮০-৯০ টাকা
ব্রি-২৮/২৯ (মাঝারি): ৬০-৬৫ টাকা
স্বর্ণা (মোটা চাল): ৫৫-৫৮ টাকা
টিসিবির বৃহস্পতিবারের বাজার প্রতিবেদন অনুযায়ী, লুজ সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, ছোট মসুর ডাল ও দারুচিনির দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে মুগ ডাল, চিনির দাম কমেছে। চালসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
সার্বিকভাবে সবজির দামে স্বস্তি ফিরলেও অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে বলেই মত বিশ্লেষকদের।
কাওরান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, হাতিরপুল, রামপুরা ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সংগ্রহ অনুযায়ী।