- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতায় আটকে আছে। এতে করে দীর্ঘদিন বেকার থাকা প্রার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রধান ফটকের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব দাবি উত্থাপন করেন তারা।
প্রার্থীরা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন ও স্থানীয় সরকারসহ নানা খাতে হাজারো পদ শূন্য রয়েছে। অথচ নিয়োগ না দেওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একদিকে শূন্যপদ দিন দিন বাড়ছে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রার্থী মারুফ হোসেন বলেন, “সরকারি হিসাবে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শূন্যপদ রয়েছে। এসব পদ পূরণ না করায় গুরুত্বপূর্ণ খাতে কর্মক্ষমতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অথচ আমরা নিয়োগের অপেক্ষায় বসে আছি।”
চাকরিপ্রার্থীরা তিন দফা দাবি পেশ করেন—
১. দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
২. প্রাথমিক শিক্ষা ও যুব উন্নয়নসহ যেখানে নন-ক্যাডার পদ আছে, সেখানে শূন্য পদ পূরণ করতে হবে।
৩. বিসিএসের নামে অনুমোদিত সব পদ ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তাদের মতে, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সরকারি খাতের কার্যক্রম গতিশীল হবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটবে। একইসঙ্গে বেকারত্ব ও দুর্নীতি কমাতে এটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রার্থীরা।