- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যিক চুক্তি হবে না।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “শুল্ক কমানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা চলছে, তবে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।”
তিনি জানান, মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রীর কাছে সরকার চিঠি পাঠিয়েছে, তবে এখনো আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাওয়া যায়নি। আমন্ত্রণ পেলে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আলোচনায় অংশ নেবে বলে জানান তিনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কাঠামো এবং আইনি জটিলতার কারণে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করা হচ্ছে না। তা ছাড়া এতে শুল্ক কমানোর সুযোগ খুবই সীমিত।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগামী শুক্রবার (২৫ জুলাই) সরাসরি না হলেও ভার্চুয়ালি একটি আলোচনা হতে পারে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক কমানো সম্ভব হবে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় দিনরাত কাজ করছে।”
৩৫% বাড়তি শুল্ক কার্যকর ১ আগস্ট থেকে
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকার বলছে, আলোচনার মাধ্যমে এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় তারা, তবে জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে কোনো আপস নয়।