- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | ফরিদপুর:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রাম টানা দুই দিন ধরে সহিংসতার আগুনে পুড়ছে। রবিবার বিকেলের সংঘর্ষ থামার পর সোমবার সকালে আবারও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয় দু’দল গ্রামবাসী। সকাল ৮টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের লোকজন ঢাল, টেটা, শরকি, কাতরা ও ইট-পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। কেউ কেউ হেলমেট পরে রণক্ষেত্রের মতো মুখোমুখি অবস্থান নেয়। ঘটনায় বহু বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। উভয় পক্ষই পরবর্তীতে মুচলেকা দিয়ে সংঘর্ষ বন্ধে সম্মত হয়। আহতদের মধ্যে মিন্টু নামে এক ব্যক্তি গুরুতর অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাটির সূত্রপাত হয় জমি মাপা নিয়ে চলমান বিরোধ থেকে। সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের লোকজন শুক্রবার একটি জমি নিয়ে সালিশ বৈঠক করলেও রায় নিয়ে একমত হতে পারেনি। রবিবার বিকেলে নতুন বৈঠক বসার কথা থাকলেও আলোচনা ভেস্তে গেলে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা প্রথম দফার সংঘর্ষে প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছিলেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, “দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”