- ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্ট: PNN
কার্তিক মাস প্রায় শেষপ্রান্তে। মাঠ থেকে ধান কাটার ব্যস্ততা থেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরাঞ্চলে শীতের আমেজ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সকাল-বিকেল ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল বাতাস জানান দিচ্ছে, শীতের কাফেলা দরজায় কড়া নাড়ছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, ফলে তাপমাত্রার তুলনায় শীতের অনুভূতি ছিল আরও তীব্র।
গত তিন দিন ধরেই অঞ্চলটিতে তাপমাত্রার ওঠানামা বেশ স্পষ্ট। মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের অন্যতম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার আগের দিনও রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসব সূচকে বোঝা যাচ্ছে, শীত এখন কার্যত জমাট বাঁধার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সাগরের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে ডিসেম্বরের শুরুতেই মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে নভেম্বরের শেষদিকে সাগরে লঘুচাপ বা সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত দেখা দিতে পারে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলে সাগর কিছুটা উত্তাল হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। জেলেদের এ সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বর্তমান অবস্থায় নভেম্বরের বাকি সময়ে তীব্র শীত বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রকৃত শীত নেমে আসবে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “শীত ধীরে ধীরে নেমে আসছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই তাপমাত্রা আরও কমবে, শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে।”