- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দফা দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এর ফলে বুয়েটসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
বুয়েটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাসিমুল ইসলাম বলেন, “আজকের সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও আমাদের আজকের পরীক্ষা বয়কট করেছি এবং শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। শুক্রবার ছাড়া বাকি সব দিন আমাদের পরীক্ষা থাকে।”
এর আগে, বুধবার রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে। ঘোষণার অনুযায়ী, বুয়েটসহ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আজকের এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।
সকাল ১০টায় বুয়েটের বিভিন্ন বিভাগে সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত নন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের নিরাপত্তারক্ষী গোলজার হোসেন বলেন, “আজ সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় কেউ আসেনি।”
গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে শাহবাগে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বুধবার সকাল ১১টার দিকে তারা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস শেল ও জলকামান ব্যবহার করে, লাঠিপেটার ঘটনাও ঘটে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তারা আবারও শাহবাগে জড়ো হন এবং রাত সাড়ে ১০টার পর শাহবাগ মোড় ছাড়েন।
রাতের সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ জানান, বিকেল পাঁচটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের কাউন্সিলে সভা হবে, যেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বুয়েটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কার্যক্রম চালু ঘোষণা করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—
নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার করা।
দশম গ্রেডে শুধুমাত্র ডিপ্লোমাধারীরাই আবেদন করতে পারবেন, সেখানে উচ্চ ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারেন।
শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন শিক্ষার্থীরাই প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) পদে নিয়োগ পেতে পারেন।
শিক্ষার্থীরা এই দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।