Tuesday, October 14, 2025

টিকটক মালিকানা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে সমঝোতা, শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত


ছবিঃ ক্যালিফোর্নিয়ার কালভার সিটিতে টিকটক কোম্পানির কার্যালয়ের বাইরে সাইনেজে প্রদর্শিত টিকটকের লোগো। (সংগৃহীত । ব্লুমবার্গ/গেটি ইমেজেস )

আন্তর্জাতিক ডেস্ক |PNN 

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর টিকটকের মালিকানা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে অবশেষে একটি সমঝোতার কাঠামো (Framework Agreement) গঠিত হয়েছে। সোমবার মাদ্রিদে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, “আমাদের হাতে এখন একটি কাঠামো চুক্তি রয়েছে। বাণিজ্যিক শর্তগুলো নিয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে না, কারণ এটি দুই বেসরকারি পক্ষের মধ্যে লেনদেন। তবে শর্তাবলি নিয়ে সমঝোতা হয়েছে।”

চীনের প্রধান বাণিজ্য আলোচক লি চেংগাংও পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে জানান, উভয় পক্ষ টিকটক ইস্যুতে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছে। তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ প্রতিবন্ধকতা হ্রাস ও বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে এই সমাধান এসেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি যোগ করেন, “আমাদের কঠিন পরিশ্রমের অর্জনকে ক্ষুণ্ণ না করে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর একতরফা চাপ বন্ধ করা।”

প্রায় দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি আইন স্বাক্ষর করেন, যাতে বাইটড্যান্সকে নয় মাসের মধ্যে টিকটক বিক্রি করতে বলা হয়। পরবর্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিকবার সময়সীমা বাড়ানো হয়।

মার্কিন নিরাপত্তা মহল বরাবরই টিকটক নিয়ে তিনটি বড় ঝুঁকির কথা বলে আসছে— গোপন তথ্য সংগ্রহ, জনমত প্রভাবিত করার প্রচারণা এবং ব্যবহারকারীদের ডিভাইস হ্যাকের সম্ভাবনা।

এর আগে মাইক্রোসফট, ওয়ালমার্ট ও ওরাকল টিকটক কিনতে আগ্রহ দেখালেও নানা জটিলতায় সেই চুক্তি ভেস্তে যায়। বর্তমানে ওরাকল ২০২২ সাল থেকে টিকটকের মার্কিন তথ্য সংরক্ষণ সেবাদাতা হিসেবে কাজ করছে।

বেসেন্ট জানিয়েছেন, চুক্তির চূড়ান্ত রূপরেখা নির্ধারণে এই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠক করবেন। ট্রাম্প এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে “যুবসমাজের প্রিয় একটি কোম্পানিকে বাঁচাতে সমঝোতা হয়েছে, যা সবাইকে খুশি করবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি গ্রিয়ারও বলেন, “বারবার সময় বাড়ানোর দিন শেষ। আমাদের হাতে এখন একটি চুক্তি রয়েছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই সমঝোতা শুধু টিকটক নয়, বরং বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক গঠনের পথও প্রশস্ত করতে পারে।

সুত্রঃ : দ্য গার্ডিয়ান

Super Admin

PNN

প্লিজ লগইন পোস্টে মন্তব্য করুন!

আপনিও পছন্দ করতে পারেন