- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙ্গামাটির কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই প্লাবনের ফলে ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট তলিয়ে গেছে এবং হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু ও বরকল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়ন, মাস্টার পাড়া, মধ্যম পাড়া, হাজী পাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, এফ ব্লক, বটতলী, আমতলী ও গুচ্ছগ্রামে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবন সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কৃষি জমিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল মাবুদ বলেন, “কাপ্তাই বাঁধের অতিরিক্ত পানি আটকে রাখার কারণে উপজেলা হাজারো পরিবার বন্যায় কবলিত হয়েছে। গত ২–৩ মাসে চারবারের মতো একই এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “মানুষ বাঁচাতে হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অতিরিক্ত পানি সংরক্ষণে অগ্রিম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়।”
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, হ্রদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলকপাটগুলো সাড়ে তিনফুট খুলে দিয়ে সেকেন্ডে ৬৩ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। হ্রদে বর্তমানে পানি স্তর ১০৮.৭৪ ফুট মিনস সি লেভেল। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে এবং ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে।
এর আগে আগস্ট মাসে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কয়েকবার পানি ছাড়া হয়েছে, যার কারণে নিম্নাঞ্চলের মানুষরা অতিরিক্ত ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নদী ও হ্রদের পানি নিস্কাশন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে প্লাবনের ধকল আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।