- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
PNN নিউজ ডেস্ক | ঢাকা:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা দুঃসময় কাটিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। এখন কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার সার্বিক প্রচেষ্টায় আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।”
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।
বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র মানে আইনের শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার এবং জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানের বিকাশ। এই দিবসটি পৃথিবীজুড়ে গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলনকে উৎসাহিত করে। তিনি গণতন্ত্র রক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করেন এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান।
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে রাখার চেষ্টা হয়েছে। নাগরিক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সীমিত করা হয়েছে এবং ভিন্নমতের মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর অন্যায়ভাবে সাজা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ফখরুল বলেন, “দেশবাসী দীর্ঘ ভয়াবহ সময় অতিক্রম করে ঐতিহাসিক রক্তস্নাত আন্দোলনের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছে, কিন্তু পূর্ণ গণতন্ত্র এখনো আসেনি। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সর্বজনীন শিক্ষা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র স্থায়ী রূপ পাবে না। পাশাপাশি নারী-পুরুষ বা অন্য কোনো লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূর করে সমান অধিকার নিশ্চিত করাই গণতান্ত্রিক সমাজের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
মির্জা ফখরুল তাঁর বাণীতে দেশের জনগণকে গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।