- ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার | PNN:
সরকারের উচ্চ সুদভিত্তিক সঞ্চয়পত্র নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমছে। বাজেট ঘাটতি পূরণ এবং উন্নয়ন খাতে অর্থায়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপর নির্ভরতা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এবার আরও সুদহার কমানোর পরিকল্পনা করছে।
চলতি বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের সর্বোচ্চ সুদহার ১১.৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৯.৭২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সরকার মানুষকে ট্রেজারি বন্ড ও অন্যান্য বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোরও মত, বর্তমান মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কে নেমে আসায় সুদহার কমানো জরুরি। অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদ বজায় রাখলে সরকার ঋণ পরিশোধে সমস্যায় পড়বে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সঞ্চয়পত্রে দীর্ঘদিন নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ বিকল্প বিনিয়োগ ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি। বিআইবিএম-এর সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “সঞ্চয়পত্রে এককভাবে ভরসা আর বাস্তবসম্মত নয়। বিনিয়োগকারীদের বিকল্প উৎসের দিকে নজর দিতে হবে।”
গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রে নিট বিক্রি ঋণাত্মক ছিল—প্রায় ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সরকার যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছে, তার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে পূর্ববর্তী সঞ্চয়পত্রের সুদ ও মূল পরিশোধে।